বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে গতকাল বিকালে শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাঝে চেক বিতরন সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা জাফরুল্লাহ নূরী।পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শেষে উক্ত কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন “জেলা উপকূলীয় পল্লী উন্নয়ন পরিষদ” (ZUPUP) এর সভাপতি নূরুল আমিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রীন বাংলাদেশের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী ও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলম।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন,কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন নিবন্ধনকৃত বিভিন্ন মানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমূহ মাঠ পর্যায়ে জনগুরুত্বপূর্ণ কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে কিন্তু সরকারের পরিচালিত জাতীয় সমাজ কল্যান পরিষদ থেকে নিম্ন পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয় সে অনুদান এর টাকা দিয়ে বড় আকারে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারলেও পৃথক পৃথকভাবে তৃনমুল পর্যায়ে দরিদ্র ও হত দরিদ্র,প্রতিবন্ধী এবং বঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের,পরিবেশ প্রতিবেশ সুরক্ষা বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ প্রতিরোধ মাদকদ্রব্য পরিহার এবং পারিবারিক সহিংসতা ইত্যাদি প্রতিরোধ সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে আসছে।ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ পরিসরে যেমন নারিকেল বাগান উন্নয়ন প্রকল্প,গবাদিপশু প্রতিপালন প্রকল্প সমন্বিত মৎস্যচাষ এবং পুষ্টিকর শাক সবজীর বাগান করার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত যেমন সমাজের পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর অংশ বেকার,ভুমিহীন অনাথ,দুস্থ ভবঘুরে নিরাশ্রায়,সামাজিক,বুদ্ধি শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি,দরিদ্র, অসহায় রোগী,ঝুকিতে থাকা শিশুদের কল্যান ও উন্নয়ন এর বহুমাত্রিক এবং নিবুড় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছেন।ইতিমধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবমহোদয় কক্সবাজারে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি এই পর্যায়ে সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সমন্বিত উদ্যেগে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।পতিনি আরো বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনে কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন ধরনের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়ে আসছে “শেখ রাসেল শিশু পূর্নবাসন কেন্দ্র” (বালক-বালিকা)প্রকল্প,খরুলিয়া শিশু পরিবার প্রকল্প,রোহিঙ্গা শিশু সুরক্ষা প্রকল্প,হিজড়াদের পূর্নবাসন কেন্দ্র অন্যতম।সভাশেষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বরাদ্দকৃত অর্থের চেক বিতরন করেন অতিথিবৃন্দদের।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।